জ্বালানির সংকট নয়,  সংকট যাতে তৈরি না হয় সেজন্য আগেই সাশ্রয়ের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার 

– এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দিনে সব মিলিয়ে ২ ঘণ্টা।

– সপ্তাহে ১ দিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ।

অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। একই সঙ্গে ‘সাময়িক লোডশেডিং’-এর এ সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানি বিষয়ক এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় কি না, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’ অফিসের বৈঠক অনলাইনে করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখার আগের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। সেই সঙ্গে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অফিস-আদালত ও বাসাবাড়ির এয়ার কন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির উপরে রাখতে হবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি নয়, আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের বেশি অগ্রাধিকার শিল্প ও ব্যবসায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে।

দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।’ তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ডিজেলচালিতগুলো বন্ধ রাখা হলেও ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনে চালু রাখা হবে।

এদিকে বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানিও বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন, জ্বালানী ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করেছে বলেই করোনা দুর্যোগ, রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থাতেও বাংলাদেশ এখনও সম্পূর্ণ ঝুকিমুক্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এই সাময়িক সঙ্কট মোকাবেলা করবোই, ইনশাআল্লাহ্।